আদানির বিদ্যুৎ আসা বন্ধ

আদানি পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হতো বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ। এর মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় শুক্রবার (২৮ জুন) উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কবে উৎপাদন শুরু হতে পারে, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। যে কারণে দেশে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে, চলছে লোডশেডিং।

সূত্র জানায়, ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকায় রক্ষণাবেক্ষণে যায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে। দুটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদন সক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে। হঠাৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

এছাড়া পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৫ জুন থেকে বন্ধ। এতে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দেয়। তবে শনিবার (২৯ জুন) বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কমে কিছুটা স্বস্তি নেমে আসে।

ভারতের ঝাড়খণ্ডে স্থাপিত ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় ২০২৩ সালের মার্চ মাসে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ মেগাওয়াট আসে। পর্যায়ক্রমে এর পরিমাণ বাড়ানো হয়।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গেল বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে। এর কিছুদিন পর জুনেই ঝড়ের কারণে রহনপুরে সঞ্চালন লাইন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছিল। এরপর ত্রুটি ঠিকঠাক করলে আবার উৎপাদন শুরু হয় কেন্দ্রটির। এতে ওই সময় কয়েক দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে আদানি বিদ্যুৎ কোম্পানি প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা বকেয়া বিল পায়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার মার্কিন ডলার সংকটের জন্য তা পরিশোধ করতে পারছে না।