চমকের বিয়ের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

চমকের বিয়ের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

ঢালিউডের ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। ৯ টাকা কাবিন ও ৯০০ টাকার শাড়িতে বিয়ে করে আলোচনার জন্ম দেন তিনি। ২১ জুন হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ের ছবি প্রকাশ করেন এই অভিনেত্রী। 

বিয়ের খবর নিয়ে যখন অভিনেত্রী চমক একের পর এক মিডিয়া কাভারেজ নিয়ে যাচ্ছেন ঠিক সেই সময় পাওয়া যায় নতুন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

চমকের স্বামী আজমান নাসিরের আগেও দুটি বিয়ে ছিল। দুই ঘরেই রয়েছে কন্যাসন্তান। নাসির প্রথম বিয়ে করে ২০০৮ সালের ১০ জুন। বিয়ের মাস খানেক পর স্টুডেন্ট ভিসায় স্ত্রী সামান্তা ইসলামকে নিয়ে লন্ডনে পড়াশোনা করতে যান তিনি। সূত্রটি বলছে, অর্থের যোগান না থাকায় শেষ পর্যন্ত পড়াশোনার পাঠ না চুকিয়েই দেশে ফেরেন তারা। এরপর ২০১১ সালের নভেম্বরে তাদের ঘরে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু দাম্পত্য কলহে ২০২০ সালের অক্টোবরে সামান্তার সঙ্গে ডিভোর্স হয় নাসিরের।

প্রথম সংসারে থাকাকালীন সময়েই নাসিরের জীবনে আসে এক মডেল। ওই মডেল এখন চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছেন। সেই মডেল আবার ‘ডেডবডি’ সিনেমার অভিনেত্রী। সেই প্রেম অবশ্য বেশিদিন টেকেনি। নাসিরের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না জানার পরেই কেটে পড়েন এই অভিনেত্রী।

এর মধ্যে লামিয়া ফারহিনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান নাসির। লামিয়া সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। অর্থবিত্ত কোনো কিছুতেই কমতি ছিল না। নাসিরের প্রেমের ফাঁদে পড়েন তিনি। প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই বিয়ে সম্পন্ন করেন তারা।

এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই ঘরও আলো করে আসে কন্যাসন্তান। সূত্রটি বলছে, সংসার চলাকালীন সময়েই নাসিরের সঙ্গে অভিনেত্রী চমকের পরিচয় হয়। যা নিয়ে তাদের সংসারে শুরু হয় টানাপোড়েন। দুজনই সিদ্ধান্তে আসে বিচ্ছেদের। তারপর ২০২৩ সালের অক্টোবর আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় তাদের। তার একবছর না পেরুতেই নাসিরের তৃতীয় স্ত্রী হন ছোট পর্দার অভিনেত্রী চমক।

গণমাধ্যমে অভিনেত্রী চমকের এই চাঞ্চল্যকর তথ্য আসার সঙ্গে সঙ্গে অনেক নেটাগরিকরা ধারণা করছে চমকের ইস্যুতে জড়িত অভিনেতা যাহের আলভী। এর পেছনের কারণ হিসেবে এই অভিনেতার কিছু দিন আগের একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টকে দায়ি করছেন অনেকে। 

সেই পোস্টে অভিনেতা আলভী লেখেন,  নিউজফিডে কিছু বুলশিট চলে আসে, তারপর এগুলো দীর্ঘদিন ঘুরাঘুরি করে। আবার পরিচিত মুখগুলোই সেগুলোকে প্রমোট করে। এই যেমন কয়েকদিন ধরে দেখছি, যৎসামান্য টাকার কাবিনে বিয়ে করে ভালোবাসার গুষ্টি উদ্ধার করার মত যতসব ফালতু পোস্ট। পরে ভাবলাম, আমরা আর কি অভিনেতা। অভিনেতা তো তারাই, যারা ১২০ ঘাটের পানি খেয়ে, রাজ্যের গোল্ড ডিগিং করে, অর্থকরি সমেত নিজের আখের গুছিয়ে, কোন এক মুরগীসমেত পাত্রের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন করে বড় বড় বুলি আওরায়।

‘ভালবাসাই সব, টাকা কিছুই নাহ। আর সত্যিকারের ভালবাসা থাকলে কাবিনের এমাউন্ট ম্যাটারই করে নাহ।’ বাবারে, আখের গোছানো শেষ হইলে কাবিনের টাকা দিয়ে কি হবে। টাকা হয়ে গেলে সবাই দার্শনিক। যত্তসব মুখোশধারী/নেমপ্লেটধারী।’

তিনি আরো বলেন, আমার দেখা যৎসামান্য কাবিনের বিয়েগুলোর একটাকেও আমি টিকতে দেখিনি। বরং একটি মিনিমাম কাবিনের বিয়ে বছরের পর বছর টিকতে দেখেছি। ১ পয়সা কাবিনে বিয়ে করেন, সাধুবাদ জানাই, সেটা নিজেদের মধ্যে রাখেন, ঢোল পিটিয়ে এত ফলাও করে বলার কি আছে? সবাই সবাইকে চিনি, জানি। 

তবে ডেইলি বাংলাদেশকে অভিনেতা আলভী জানান, চমকের ইস্যুতে আমার কিছু বলার নাই। এসব নিয়ে কিছু যায় আসে না।