আন্তর্জাতিক অঙ্গন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন চায়

ব্যারিস্টার আবু সায়েম।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অঙ্গন দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আবু সায়েম। আন্তর্জাতিক অঙ্গন যে বাংলাদেশে পরিবর্তন চায়, এর ক্রেডিট বিএনপিকেই দিতে হবে। গুম, খুন, নির্যাতনের মতো এত প্রতিকূলতার মাঝেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা ত্যাগ স্বীকার করে চলেছে বলেই আন্তর্জাতিক অঙ্গন চায় বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হোক। দ্য মিরর এশিয়ার সাথে একান্ত আলাপে ব্যারিস্টার আবু সায়েম এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দ্য মিরর এশিয়ার বিশেষ প্রতিবেদক এইচ এ আসাদ

দ্য মিরর এশিয়া: বিএনপির রাজনীতি এখন কোথায় আছে?

ব্যারিস্টার সায়েম: আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। ঢাকা শহরের সমাবেশে গণজোয়ার হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে; সরকারকে তারা আর চায় না। জনগণ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে শাসকগোষ্ঠী আন্দোলনের পথ কঠিন করে ফেলেছে। একতরফা নির্বাচনে ভোটের রেজাল্টও আওয়ামী লীগ তাদের পক্ষে নিয়ে গেছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, বিএনপি ব্যর্থ হয়ে গেছে কিংবা জনগণ ব্যর্থ হয়ে গেছে। জনগণ যখন একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে থাকে, তখনই তার ডাকে সাড়া দেয়। ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন হয়েছে। আমরা অংশগ্রহণ করিনি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগণকে বলেছেন, আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। তারা যায়নি। এতে নির্বাচনে শতকরা পাঁচ ভাগেরও কম ভোট পড়েছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতা এখনও আছে। জনগণ পরিবর্তন চায়। চূড়ান্ত সাফল্যের জন্য হয়তো আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

টিএমএ: বিএনপি এ জন্য কি করছে? 

ব্যারিস্টার সায়েম: দেশে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপি কাজ করছে। অবশ্যই আমরা জনগণের আশা আকাঙ্খার সাথে তাল মিলিয়ে রাজনীতি করছি। এই লড়াই আরো বেগবান হবে। জনগণের যে প্রত্যাশা, জনগণ যা ভাবছে- অগণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে- এ জায়গায় লড়াই বেগবান করতে হবে।

টিএমএ: আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে নামানো সম্ভব কি? 

ব্যারিস্টার সায়েম: আন্দোলনের তো বিভিন্ন রূপ আছে। প্রয়োজন অনুযায়ী আন্দোলনের ভিন্নতা থাকতে পারে। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণকে সাথে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করবে, এটাই প্রত্যাশিত। বিএনপি তো আর এমন কিছু করবে না, যা দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। কোন অসাংবিধানিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে জনগণ যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, তাতে আমরা বিভিন্ন রূপ লক্ষ্য করি। সময়ের বাস্তবতায় যখন ফলাফল আসে, তখন জনগণই স্বাগত জানায়। আমি মনে করি, বিএনপি যে পথে আন্দোলন করছে, তা সময়ের দাবির সাথে সামঞ্জস্য রেখেই হচ্ছে।

টিএমএ: অতীতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা থেকে নির্বাহী কমিটি এবং বর্তমান কমিটির মধ্যে নেতৃত্বের গুনগত মানে কোনো তফাত লক্ষ্য করছেন কী?

ব্যারিস্টার সায়েম: না। আপনি যদি খেয়াল করেন, এখানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল ও অন্যান্য নীতি নির্ধারক যারা আছেন, তারা একত্রে সিদ্ধান্ত নেন। একটা সময় যখন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রত্যক্ষভাবে আন্দোলনের সাথে ছিলেন, তখন তার উপদেষ্টা ও নীতি নির্ধারকদের ভূমিকায় আমরা সাফল্য পেয়েছি। আজকে বিএনপির রাজনীতির মাঠে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল, ভাইস চেয়ারম্যান, স্থায়ী কমিটির সদস্য, পুরো নির্বাহী কমিটি ও দলের প্রতিটি পর্যায়ে যারা নীতিনির্ধারক আছেন, তাদের মতামত গুরুত্বের সাথে নেয়া হয় যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে। প্রতিটি পর্যায়ে সফলতা আসছে। আপনি বলতে পারবেন না যে, অতীতে সফলতা ছিল, এখন নেই। ৭ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট বর্জন করেছে; এই যে জনগণের ব্যাপক সমর্থন, এটা বিএনপির প্রতিষ্ঠা থেকে আজ অবধি বেড়েই চলেছে।

টিএমএ: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বা দাতাগোষ্ঠীকে বিএনপি কি সেটা বোঝাতে সক্ষম হয়েছে?

ব্যারিস্টার সায়েম: ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের মার্চ মাসের প্রতিবেদনে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, নির্বাচনের যে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড থাকে, এটাতে (৭ জানুয়ারি নির্বাচনে) তা রক্ষা হয়নি। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি। সবচেয়ে বড় যে কথা- ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, এটা ছিল আসন ভাগাভাগির নির্বাচন। নির্বাচনের আগে আমাদের ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হলো, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে প্রতিক্রিয়া দেখেছি আমরা। জাতির ক্রান্তিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংগ্রামী নেতৃত্ব আমাদের সামনে আছে। গত সাড়ে সতেরো বছর ধরে মাঠে আছে বিএনপি।

টিএমএ: আন্তর্জাতিক মহলে বিএনপিকে বন্ধু শূন্য করে দিয়েছে সরকার। কথাটা কতটা সঠিক?

ব্যারিস্টার সায়েম: যদি কেউ বলে বিএনপির আন্তর্জাতিক বন্ধু নেই, তাহলে আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তার সাথে মিলবে না। ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখনই বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেছে, আইনের শাসন নিয়ে কথা বলেছে, তারা সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হিসেবে বিএনপিকে পাশে পেয়েছে। ইউরোপিয়ান প্রতিনিধিরা যখনই ঢাকায় এসেছে, তারা বিএনপির সাথে বসেছে, ডেমোক্রেসি নিয়ে কথা বলেছে। বিএনপি যে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন করছে, এটার সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়রে সমর্থন নেই- আমি এর সাথে একমত নই। জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করেছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান মি. জোসেফ বোরেল কথা বলেছেন। এমনকি যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশও কথা বলেছে এ সরকারের বিরুদ্ধে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কিন্তু শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ভারতের গণতন্ত্রের সীমাবদ্ধতা নিয়েও আলোচনা হয়। অন্যান্য যেসব দেশে ডেমোক্রেসি নেই, সেখানে গণতন্ত্র ফেরাতে কাজ করছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ।

টিএমএ: এই মুহূর্তে দলকে পুনর্গঠন করার প্রয়োজনীয়তা কি অনেক জরুরি ছিল?

ব্যারিস্টার সায়েম: যেহেতু বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল, ভয়ংকর প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে বিএনপিকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। নেতা-কর্মীদের ত্যাগের বিষয়টি মাথায় রেখে দলে পুনর্গঠন করতে হয়, এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বিএনপি দল হিসেবে কলেবর যত বড়, পরিবর্তনটা সে হিসেবে খুবই সামান্য। আন্দোলনের চাহিদা, নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী এটা (পরিবর্তন) চলতে থাকবে। সবাই সাংগঠনিকভাবে অবদান রাখছেন। কেউ সম্পাদকীয় পরিষদ থেকে উপদেষ্টা পরিষদে যাচ্ছেন। কিন্তু তার কাজের গুরুত্ব পরিবর্তন হচ্ছে না। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী বিএনপির একজন নেতা-কর্মী দেখাতে পারবেন না যে গত সাড়ে সতেরো বছরে আওয়ামী সরকারের সাথে হাত মিলিয়েছে। যারা দলের নীতি আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, দল তাদের প্রতি ব্যবস্থা নিয়েছে। মাঠের নির্ভরতা কখনো কমায়নি বিএনপি।

টিএমএ: ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দোলনের যে ধারাবাহিকতা এবং জনগণের সমর্থন ছিল, সেটি কি ধরে রাখতে পেরেছে বিএনপি?

ব্যারিস্টার সায়েম: গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ডাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। তার যে ইমেজটা তৈরি হয়েছে জনগণের মাঝে, একটা সঠিক নির্বাচন হোক, নব্বই ভাগের বেশি মানুষের সমর্থন করবে তারেক রহমানকে। এটা আওয়ামী লীগ ও তাদের সুবিধাভোগী প্রশাসন জানে বলেই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করছে না। তারেক রহমান বিশ্বাস করেন বিএনপির শক্তি- জনগণ; আর জনগণের শক্তি- বিএনপি। বিএনপি অন্য কোথাও ভরসা রেখে ক্ষমতায় আসার কথা চিন্তা করে না।

টিএমএ: সম্প্রতি বিএনপি একটি বড় আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি করেছে। এদের কাজ কি শুধু প্রবাসে কমিটি করা?

ব্যারিস্টার সায়েম: এ ক্ষেত্রে কিছুটা তথ্যগত পার্থক্য আছে। প্রবাসে কমিটি গঠন ভিন্ন একটি বিষয়। যদি কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা বলি, সেটা ভিন্ন। এখন যে কমিটিটা হলো- দু’টি অ্যাডভাইজরি কমিটি। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কাজ দেখা গেলেও, কূটনীতি দৃশ্যমান থাকে না। সেটা সাধারণ মানুষ দেখতে পাবে না। সেটা যদি প্রতিপক্ষ জেনে যায়, তাহলে তো সফলতা আসবে না। সাংগঠনিক প্রক্রিয়া এবং কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড-, দুই ধাপেই বিএনপি কাজ করছে। বিএনপির মত একটা জাতীয়তাবাদী দলের চূড়ান্ত সাফল্য তখনই আসবে, যখন মানুষের ভোটাধিকার, কথা বলার অধিকার, সমাবেশ করার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। ডিপ্লোমেসিতে বিএনপি যেভাবে এগোচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে বাংলাদেশের ব্যাপক সমালোচনা করেছে, ইউকে করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও করেছে। “বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ব্যবস্থায় একটি ওয়ান ওম্যান  শো”(একজন নারীর উপস্থাপনা) চলছে; বিবিসিও বলেছে এ কথা। এরকম আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মেনশন এসেছে। তারেক রহমানের কারণে আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গন বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে তাদের অবস্থান প্রকাশ করছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক বাংলাদেশি আছেন যারা দলীয় পদে না থেকেও বিএনপির জন্য কাজ করছেন।

টিএমএ: প্রতিবেশী দেশ ভারতের কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এবং তারেক রহমানের ব্র্যান্ড ইমেজ তুলনামূলক মূল্যায়ন করুন…

ব্যারিস্টার সায়েম: আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন রাজীব গান্ধী মারা যায়, তখন থেকে কংগ্রেস যে কয়বার ক্ষমতায় এসেছে— সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াংকা গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর উপর ভর করে নয়। আমরা প্রথমে জানতাম প্রিয়াংকা কংগ্রেসের হাল ধরবেন, সোনিয়া গান্ধীর কথা বাদ যায়, কারণ বিজেপির পক্ষ থেকে তার নাগরিকত্ব প্রশ্ন তোলা হয়। আশির দশক থেকে কয়েক দশক লেগেছে রাহুল গান্ধীর আজকের অবস্থানে আসতে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মূল রাজনীতি ২০০১ সালের পর থেকে। তবে এর আগেও তিনি রাজনীতি করেছেন। একানব্বইর নির্বাচনেও আমি তাকে দেখেছি রাজনীতির মাঠে। তবে তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা ২০০১ সালের পর। বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিলেই দেশের নব্বই ভাগ মানুষ তারেক রহমানের পক্ষে রায় দিবে। ভারতে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবার পরেও কিন্তু রাহুল গান্ধী কংগ্রেসকে উদ্ধার করতে পারেনি। রাহুলের চেয়ে তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।

টিএমএ: তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের নেগেটিভি ব্র্যান্ডিংয়ের বিপরীতে কি করছেন? 

ব্যারিস্টার সায়েম: যতগুলো অভিযোগ তার বিরুদ্ধে, তার প্রতিটি কিন্তু যুক্তি খণ্ডানো হয়েছে, আদালতেও তার সততার প্রমাণ হয়েছে। ইমেজ হিসেবে যদি বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, তিনি একজন সৎ মানুষ। তিনি দুর্নীতি করেননি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগে রায় না দেওয়ায় এক বিচারককে দেশ ছাড়তে হয়েছে, তিনি নিজের মুখে সেটা স্বীকার করেছেন। ফলে নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং সফল হচ্ছে না। আওয়ামী সরকার ও তাদের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী তার নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং করেছে এবং বাইরে থেকে যারা ইন্ধন দেয় তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে। এরা কিন্তু ২০০১ সাল থেকে কাজ করছে এবং ২০০৭ সালে গিয়ে তাদের কিছুটা সাফল্য এসেছে। তাদের এই হিন চক্রান্তের কারণেই তারেক রহমানকে বিলেতে যেতে হয়েছে। সেই থেকে আওয়ামী গোষ্ঠী চেষ্টা করছে তাকে বিভিন্নভাবে রূপায়িত করার জন্য, সেটাতো আদৌ সম্ভব হয়নি।

টিএমএ: এত জনভিত্তি এবং সমর্থন থাকার পরেও বিএনপি সফল হচ্ছে না কেন? এ জন্য বিএনপির দায় কতটুকু? 

ব্যারিস্টার সায়েম: দায়বদ্ধতার জায়গায় বিএনপির কোন দুর্বলতা নেই। বিএনপি কখনো আওয়ামী সরকারের সাথে আঁতাত করেনি। কখনো জনগণের প্রত্যাশার বাইরে কিছু করেনি। জনগণের যে প্রত্যাশা, সেটাকে সামনে রেখেই বিএনপি রাজনীতি করছে এবং নেতা-কর্মীরা ত্যাগ স্বীকার করছে। সরকারকে ‘দ্রুত’ ক্ষমতা থেকে সরাতে মাঠের আন্দোলন আরো জোরদার করতে হবে বিএনপিকে।

টিএমএ: আপনাকে ধন্যবাদ।

ব্যারিস্টার সায়েম: ধন্যবাদ। গণতন্ত্রের এই লড়াইয়ে দ্য মিরর এশিয়াকেও মানুষের পাশে চাই।