যুক্তরাজ্যের ভোটে এবার রেকর্ড ৩৪ বাংলাদেশি প্রার্থী

যুক্তরাজ্যের ভোটে এবার রেকর্ড ৩৪ বাংলাদেশি প্রার্থী

যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনের শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার হাউস অব কমন্স হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৬৫০ সদস্যের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটাররা। এর ভিত্তিতে নতুন সরকার গঠন হবে।

এবার নিধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গত ২২ মে নির্বাচন আগেভাগে করার ঘোষণা দেন।

গত ১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। তবে জনমত জরিপ বলছে, এবার হয়তো লেবার পার্টি আসতে চলেছে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায়। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কির স্টারমার।

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে প্রায় ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। ভোট শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে। ভোট চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যজুড়ে ৬৫০টি নির্বাচনি এলাকায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসের জন্য প্রার্থী নির্বাচিত হবে।

হাউস অব কমনসে কোনো দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য মোট আসনের অন্তত ৫০ শতাংশ বা ৩২৬টি আসনে জয়লাভ করতে হবে। এরপর তাদের সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাবেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়, নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেয়া হয় না।

আগামীকাল রাতেই বুথফেরত জরিপ থেকে ভোটারদের অবস্থান সম্পর্কে কিছুটা আভাস মিলবে। কে ক্ষমতায় আসতে পারে, সে বিষয়টিও বেশ স্পষ্ট হবে। কিছু কেন্দ্রের ফলাফলও চলে আসবে। তবে পূর্ণাঙ্গ ফল আসতে শুক্রবার প্রথম ভাগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। অতীতেও এ রকমটি হওয়ার নজির রয়েছে। ২০১৯ সালে কনজারভেটিভ পার্টির বিজয় নিশ্চিত হয়েছিল যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা নাগাদ।

দেশটির নির্বাচনে এবার যে কয়টি বিষয় ভূমিকা রাখবে, তার মধ্যে অন্যতম হলো- মূল্যস্ফীতি ও অভিবাসন।

জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বিভিন্ন দলের হয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩৪ জন ব্রিটিশ নাগরিক লড়বেন। প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আটজন ব্রিটিশ নাগরিক মনোনয়ন পেয়েছেন। 

তাদের মধ্যে চারজন বর্তমানে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা হলেন রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক ও আফসানা বেগম। বাদবাকি চারজন হলেন রুমি চৌধুরী, রুফিয়া আশরাফ, নুরুল হক আলী ও নাজমুল হোসাইন।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দল থেকেও ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি নাগরিকদের লড়তে দেখা যাবে। মোট ২ জন লড়বে এ দল থেকে। তারা হলেন আতিক রহমান ও সৈয়দ সাইদুজ্জামান।

ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে লড়তে দেখা যাবে ৬ জনকে। তারা হলেন গোলাম টিপু, প্রিন্স সাদিক চৌধুরী, মোহাম্মদ সাহেদ হোসাইন, ফয়সাল কবির, মোহাম্মদ বিলাল ও হালিমা খান।

এ ছাড়া রিফর্ম পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যাবে রাজ ফরহাদকে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস থেকে লড়বেন রাবিনা খান, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি থেকে দাঁড়িয়েছেন নাজ আনিস মিয়া, গ্রিন পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন সাইদ সিদ্দিকী, সাইদ শামসুজ্জামান শামস ও শারমিন রাহমান। আর সোশালিস্ট পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতাজ খানম।

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও দাঁড়িয়েছেন ১১ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তারা হলেন ওয়েইছ ইসলাম, আজমাল মাশরুর, সুমন আহমেদ, সাম উদ্দিন এহতেশামুল হক, ওমর ফারুক, নিজাম আলী, নূরজাহান বেগম, হাবিব রহমান, আবুল কালাম আজাদ ও রাজা মিয়া।