রাজনৈতিক বৈরিতা নিয়ে সামনে এগোনো কঠিন: সিইসি

ফাইল ছবি

বিদ্যমান রাজনৈতিক বৈরিতাকে প্রকট উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এ বৈরিতা নিয়ে সামনে এগুনো কঠিন হবে। তা পরিহার করে রাজনৈতিক দলেগুলোকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে।

রবিবার দুপুরে টিআইবি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন ভবনে বৈঠক শেষে সিইসি জানান, ইসির অনন্ত সক্ষমতা রয়েছে এমন নয়। ইসি একা কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা দরকার।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনও কোনো আলাপ আলোচনা আমি দেখছি না। তাদের মধ্যে বৈরিরা অত্যন্ত প্রকট। এতো প্রকট বৈরিতা নিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে- এ প্রকট বৈরিতা রাখতে সামনে আগানো খুব কঠিন হবে। এ বৈরিতা পরহার করে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে।

সেই সঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিকে ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি।

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জমান বলেন,নির্বাচন ব্যবস্থা যেটি আছে এটিকে আমরা পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছি। কারণ স্বাধীনতার পর থেকে একই ব্যবস্থা রয়েছে এটিকে পরিবর্তন করা দরকার। যার মধ্যে একটি পদ্ধতি রয়েছে সমানুপাতিক পদ্ধতি। সেটি সম্পর্কে তারাও একমত হয়েছেন। তারা আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন এই বিষয়ে আরও চাহিদা সৃষ্টি করা। 

দ্বিতীয় বিষয়টি বিশেষ ভাবে ালোচিত হয়েছে নির্বাচন যেটি হয়েছে সেটি প্রতিযোগীতা মূলক হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সেটি আমাদের প্রতিবেদনেও আছে। আমরা বলেছি প্রতিযোগীতা হয়েছে নিজেদের মধ্যে। সেটা নিরববাচন কমিশন আমাদের সর্্গে একমত। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের যতটুক সক্ষমতা ছিল সে অনুযায়ী তাদের ভূমিকা তারা পালন করেছে। এই কথাটুকু তারা ামাদের বলেছে। 

আমরা যেটুকু বলেছি, যে জিনিসটা প্রত্যাশিত ছিল, বা সম্ভব ছিল, সুষ্ঠু নির্বাচন উপযোগী বিশেষ করে লেভেল প্লেইং ফিল্ড  বলতে যেটা বুঝায়। সমান প্রতিযোগীতা নিশ্চিত করার জন্য, স্বার্থের দ্বন্দ্ব মুক্ত ভূমিকা নিশ্চিত করা প্রয়োজন ছিল সে জায়গায় ব্যর্থতা চিহ্নত করেছি। সেটি মোটামুটি ভাবে আলোচিত হয়েছি। সেখানে দ্বিমতের কোন সুযোগ ছিল না।

দফায় দফায় জাতীয় সংসদের ভোট করা যায় কিনা এ বিষয়ে ালোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনার ব্যক্তিগত ভাবে বলেছেন। আমরাও বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারি। সেটা হল আমাদের যে নির্বাচন হয় একদিনে। বিশাল কর্মযজ্ঞ। সেটাও ভেবে দেখা দরকার। একদিনে ৩০০ আসনে নির্বাচন না করে পর্যায়ক্রমে করা যায় কিনা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন এটিকে পাঁচ দফায় করা যায় কিনা।