গরুর মাংসের ব্যবসা থেকে খলিলের ইস্তফা, কেজি ৬০০ টাকা হলে ফিরবেন

সম্প্রতি সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযানের পর অনেকে জানতে চাইছেন আলোচিত গরুর মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের কথা। তিনি কি এখনো মাংস ব্যবসা করছেন, না ছেড়ে দিয়েছেন?

বিষয়টি জানতে অনেকে যোগাযোগ করেন দ্য মিরর এশিয়ার সঙ্গে। এ প্রেক্ষিতে রবিবার খিলগাঁওয়ে খলিলের মাংসের দোকানে ঢুঁ মারেন দ্য মিরর এশিয়া ঢাকা অফিসের এক প্রতিবেদক। তবে সকাল ১০টার কিছু পরে সেখানে গিয়ে খলিলের দেখা পাওয়া যায়নি।

মাংসের দোকানের লাগোয়া খলিলের ফার্নিচারের আরেকটি দোকান আছে। সেখানে এক কর্মচারীকে বসে থাকতে দেখা যায়। তিনি জানান, খলিল এখন আর দোকানে তেমন একটা আসেন না। মাঝে-মধ্যে আসেন। মোবাইলে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।

পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মোবাইলে কথা হয় খলিলের সঙ্গে। তিনি বাসায় রয়েছেন জানিয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, গরুর মাংসের ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। এখন তার দোকানের সাবেক এক কর্মচারী মাংসের ব্যবসা করছে। বাজারের অন্যান্য দোকানির মতো স্বাভাবিক দামে মাংস বিক্রি করছেন তিনি।

ছাগলকাণ্ডের জেরে মোহাম্মদপুরে সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান চালানো হয়েছে, বিষয়টি জানেন কি না- এমন প্রশ্নে খলিলুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি। কিন্তু এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। কী বলতে কী বলে ফেলব, আবার কোন বিপদ হবে- তারচেয়ে কিছু না বলাই ভালো।

সারা দেশের মানুষ আপনাকে এক নামে চেনে। এর কারণ আপনি কম দামে মাংস বিক্রি করেন, আপনি কি এই ব্যবসায় আর ফিরবেন না?- এমন প্রশ্নে খলিল বলেন, ফিরব, মাংসের দাম যখন ৬০০ টাকা হবে।

এমন সম্ভাবনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে খলিল বলেন, অবশ্যই আবার গরুর মাংসের দাম ৬০০ টাকা হবে। সিন্ডিকেট যেহেতু ভেঙে দিচ্ছে, সেহেতু মানুষ আবার কম দামে গরুর মাংস খেতে পারবে।

খলিলুর রহমান সারা দেশে একজন আলোচিত ব্যক্তি। বাজারে গরুর মাংস যখন ৮০০ টাকা কেজি, তখন তিনি সাড়ে ৫ শ টাকায় বিক্রি করে আলোড়ন তোলেন। খিলগাঁওয়ে তার দোকানে শত শত মানুষকে সকাল থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত লাইন ধরে গরুর মাংস কিনতে দেখা গেছে। তার দেখাদেখি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কম দামে কসাইদের গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়।

অভিযোগ রয়েছে, এরপরই মাংস ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়েন খলিল। বিভিন্ন সময়ে তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন খলিল। এর জেরে বর্তমানে মাংস ব্যবসা একেবারে বন্ধ করে সময় দিচ্ছেন তার ফার্নিচারের দোকানে।

তবে মাংস ব্যবসায় সাধারণ মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছেন, সেটি ফার্নিচারের দোকানে বসে পান না বলে জানান খলিলুর রহমান।