খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস, বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং

খাগড়াছড়িতে টানা ভারী বর্ষণে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করছে প্রশাসন।

পাহাড় ধসের ঘটনাগুলোর মধ্যে সোমবার (১ জুলাই) জেলা শহরের মধ্য শালবন এলাকায় রান্না ঘরের উপর পাহাড় ধসে পড়ে। এতে স্থানীয় বেলালের রান্নাঘরটি ভেঙে গেছে।

এছাড়া সদরের কমলছড়ি ইউনিয়নের ভুয়াছড়ি এলাকার সড়কের ওপর পাশের পাহাড় ধসে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ঐ এলাকার সড়ক পথের চলাচল। এছাড়াও বেশ কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।

ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়েছে। চেঙ্গি, মাঈনি এবং ফেনী নদীর পানি বেড়েছে। বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে গঞ্জপাড়া, মুসলিম পাড়া, দীঘিনালার মেরুং ও মহালছড়ির নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

জেলায় পাহাড়ের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সবুজবাগ, শালবাগান, কুমিল্লাটিলা, কলাবাগানসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় ধসের শঙ্কা করছে প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের বিভিন্নভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।

এদিকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

সকাল থেকে শালবন, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ ও কুমিল্লাটিলা ঘুরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীতে সরিয়ে নিতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।

এ দিকে, ভারী বর্ষণে সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি মহালছড়ি সড়কের মহালছড়ির চব্বিশ মাইলে সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে রাঙ্গামাটির সঙ্গে খাগড়াছড়ির যান চলাচল বন্ধ।

পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে জেলার নদ-নদীতে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং চলছে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকায় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকির পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রেজাউল বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি ধসের ঝুঁকি বাড়ছে। আতঙ্ক নিয়ে বাস করছে মানুষ। প্রতিবছর ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেই নড়েচড়ে উঠে প্রশাসন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। পাহাড় ধসে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।