তিস্তায় ডুবছে ভারসাম্যের কূটনীতি

প্রথম তিন মেয়াদে অর্থাৎ, ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার পরাশক্তিগুলোকে লেজে খেলিয়েছে। নানা রকম ভেল্কি দেখিয়ে পরাশক্তিগুলোর সমর্থন জমা করেছে নিজেদের ঝুলিতে।

প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ভারতের নেতৃত্বে ওয়ার অন টেররের অংশীদার হয়ে তারা জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের দমনের নামে দেশের ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমাদের আস্থা অর্জন করেছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সহায়তায়  রাজনৈতিক বিরোধীদের জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ট্যাগিং করে একেবারে কোণঠাসা করে ফেলেছে। এই ইসলাপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে রাজনৈতিক বিরোধীদের কোণঠাসা করার এই কার্যক্রমে আওয়ামী লীগ সরকারকে সর্বাত্বক সহযোগিতা দিয়ে এসেছে ভারত। প্রথম মেয়াদেই এই সফল কার্যক্রমের পাশাপাশি ভারত নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সকল আয়োজনও পাকাপোক্ত করে ফেলেছে। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশের সমর্থন ও সহযোগিতা দেশটিকে অনেকটাই নির্ভার করে দিয়েছে।

২০১৪ সালে সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের আগেই গণজাগরণ মঞ্চ বনাম হেফাজতে ইসলামের দ্বন্দ্ব আওয়ামী লীগ সরকার ও ভারতকে নতুন করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নিশ্চিহ্ন করার এবং হেফাজতে ইসলামকে নিষ্ক্রিয় করার সুযোগ এনে দিয়েছে। এক তরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনে ভারত যেমন জামায়াতে ইসলামীকে দুর্বল ও প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে তেমনি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে কোণঠাসা করে দিতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের এসব কাজে, পরাশক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বিতীয় মেয়াদের পুরোটা সময়জুড়ে উল্লেখ করার মতো কোনো আপত্তি তোলেনি। এই সুযোগে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত তার সর্বাত্বক প্রভাব বলয় গড়ে তুলেছে। সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধের সময় থেকে ভারতকে এ অঞ্চল দেখাশোনার যে দায়িত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছিল তা এখনও অব্যাহত রেখেছে। ফলে, মার্কিন প্রভাবিত পশ্চিমা শক্তি আওয়ামী লীগের দুর্নীতিগ্রস্ত, অগণতান্ত্রিক, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনকারী শাসন ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি তো তোলেইনি, বরং সমর্থন দিয়ে গেছে।

তৃতীয় দফা রাতের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারকে অভিনন্দন ও স্বীকৃতি জানানোর প্রতিযোগিতায় চীনের এগিয়ে যাওয়া ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমাদের সতর্ক করে দেয়। অবশ্য নির্বাচনের আগেই নিউ ইয়র্ক টাইমস সহ গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যমে খবর ও বিশ্লেষণ প্রকাশিত হতে থাকে যে বাংলাদেশ চীনের প্রভাব বলয়ের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে।

২০০৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সময়ের মতো ইতিহাসে কখনোই ভারতের এতটা নিয়ন্ত্রণ ও প্রত্যক্ষ প্রভাবের মধ্যে ছিল না বাংলাদেশ। অথচ এই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে চীনের প্রভাব সবচেয়ে বেড়েছে। এই হিসাবটা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রকে কিছুটা চিন্তিত করে তুললেও তারা বিশেষ কোনো ব্যবস্থা ২০২৪ সালের নির্বাচন পর্যন্ত নিতে পারেনি। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নগদ লাভ অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে চায় ভারত। কেননা ভারতের দিক থেকে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কাছ থেকে তাদের চাওয়ার বা পাওয়ার আর তেমন কিছু অবশিষ্ট নেই। চতুর্থ দফায় আওয়ামী শাসন আমলে তারা আগে পাওয়া সুবিধাগুলোকে সুরক্ষা আরও নিশ্চিত করতে এবং বাড়তি কিছু পাওনা নিশ্চিত করতে চাইবে বলে বিশ্লেষকরা অনুমান করছিলেন।

এই দফা আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনার পর তারা দুটি দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে- এক, তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে সরাসারি প্রভাবিত করতে চাইছে। দুই, সামরিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। বাংলাদেশে আভ্যন্তরীণ রাজনীতি, মন্ত্রিসভা, সংসদ, শিক্ষাঙ্গন, পুলিশ-প্রশাসন, সংবাদমাধ্যম, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী সমাজ, নাগরিক সমাজের ওপর ভারতীয় প্রভাব অনেক পাকাপোক্ত।

সামরিক ও পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বাংলাদেশ নামেই একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে। দখল না করেও এটি তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণভুক্ত একটি দেশ হিসেবেই থেকে যাবে।

ভারতের এই আকাঙ্ক্ষায় এ যাবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ পশ্চিমাদের আপত্তি তুলতে দেখা যায়নি। বরং, তারা মানবাধিকার, মতপ্রকাশ ইত্যাদি নিয়েই কথা বলেছে। নির্বাচনের আগে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের পাশাপাশি মানবাধিকার ও মতপ্রকাশ নিয়ে কথা বললেও ভোটের পর তারা মুখ প্রায় বন্ধই করে রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত মনে করে, বাংলাদেশে ভারতের সর্বাত্বক নিয়ন্ত্রণ দেশটিতে ইসলামপন্থীদের উত্থান ঘটতে দেবে না। অন্যদিকে, দেশটিকে চীনের দিকে চলে যেতেও বাধা দেবে। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশ তার পক্ষে থাকবে। পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রপন্থী সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে তার বেগ পেতে হবে না। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় বড় দেশগুলো তার প্রভাব বলয়েই থাকবে। ছোট দেশগুলো চীনের বলয়ে ঢুকে পড়লে তা বিশেষ কোনো তারতম্য ঘটাতে পারবে না। এই প্রেক্ষাপটেই আওয়ামী লীগ সরকার একটি ডামি নির্বাচন করে ২০২৪ সালেও চতুর্থ দফাতেও ক্ষমতা দখল করতে পেরেছে।

কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের চতুর্থ দফায় ক্ষমতা দখল করার পর আঞ্চলিক পরাশক্তি ভারত ও বৈশ্বিক পরাশক্তি চীন বেশ বেপরোয়া অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের যে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়েছে তাতে তারা দেশটিকে যেমন খুশি তেমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলে মনে করে। অন্যদিকে এই ভারতীয় প্রভাব সক্রিয় থাকা অবস্থায় চীন যেভাবে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে, এদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে এবং বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল করে তুলেছে তাতে তারাও এখানে বড় খেলোয়াড় হিসেবে হাজির হয়েছে। চীনকে সহায়তা করছে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারত-বিরোধী তীব্র মনোভাবও। ভারত মনে করে, এখন তারা বাংলাদেশকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করার মতো অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তের বাইরে আওয়ামী লীগ সরকার যেতে পারবে না। তাই, এই দফায় তারা সর্বোচ্চটা চায়।

অনেকেই মনে করেন, ভারত বাংলাদেশের কৌশলগত স্থানগুলোতে অবস্থান নিতে চায়। এমনকি ইউক্রেনে রাশিয়ার ডনবাস মডেল অনুসরণ করে তারা বাংলাদেশের ভেতরে অভিযানও পরিচালনা করতে পারে। রাশিয়া যেভাবে ডনবাসে রুশ ভাষাভাষীদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে এ কথা রটিয়ে ইউক্রেন অভিযান শুরু করেছিল ভারতও বাংলাদেশে তেমনটি করতে পারে। কিন্তু কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, তিনটি কারণে এটা একেবারেই অসম্ভব। ১. ভারত রাশিয়ার মতো পরাশক্তি নয়। ২. বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যাধিক্য। ৩. চীন।

তারা মনে করেন, এ অঞ্চলে চীনের ইন্টারেস্ট বাড়ছে। ফলে চীন কখনোই বাংলাদেশে ভারতের সামরিক কৌশলগত অবস্থান মেনে নেবে না। এ কারণেই তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই বাংলাদেশের অখণ্ডতা অক্ষুণ্ন রাখার কথা বলে রেখেছে। বাংলাদেশে ভারতের সামরিক আকাঙ্ক্ষা বিষয়ে অনুমান করেই হয়তো তারা একথা বলেছে।

২০২৪ সালের নির্বাচনের আগেই বাংলাদেশের তিস্তা নদী পুনরুদ্ধার ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও এতে অর্থায়নের ব্যাপারে সরাসরি আগ্রহ দেখিয়েছে চীন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ থেকেই তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিন্তু এ বিষয়ে ভারতের দিক থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। ভারত বিষয়টিকে কেন্দ্রীয় সরকার বনাম পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব হিসেবে দেখিয়ে হিমঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে। অথচ, ভারতের কারণে এই নদীটি বাংলাদেশের এক বড় অংশের কৃষি ও জীবনযাপনে নেতিবাচক প্রভাব রেখে চলেছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে খরা ও বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানিতে বন্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তিস্তা চুক্তির জন্য বহু বছর অপেক্ষার পর বাংলাদেশ তিস্তা বিষয়ে চীনা প্রকল্পের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। চীনও এ বিষয়ে আগ্রহী। কিন্তু ভারত এ নিয়ে নানা ওজর-আপত্তি জানিয়ে আসছে। অপ্রকাশ্যে ও কূটনৈতিক চ্যানেলে আপত্তি জানানোর পর বিষয়টি তারা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। ভারতের নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে বিদেশ সচিব বিনয় মোহন খাত্রা ঢাকা এসে জানিয়ে গিয়েছেন তারা তিস্তা প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এ প্রস্তাব শুধু অভিনব নয়, উর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত। যে তিস্তার দুরবস্থার জন্য ভারত দায়ী সে তিস্তাকে বাংলাদেশের উপকারের জন্য গড়ে তুলতে তারা সহযোগিতা ও বিনিয়োগ করবে একথা মেনে নেওয়া যায় কীভাবে? এতটা ভাল মানসিকতা যদি থাকতোই তবে তো তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিই ভারত করতো।

কিন্তু এসব প্রশ্ন করলে হবে না। কেননা, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন আর কোনো যুক্তিতে চলে না। ভারত যা চায়, সরকার তা দিতে বাধ্য। ট্রানজিট, বন্দর ব্যবহার সুবিধার পর আরও বন্দর চায় তারা, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রেন চালিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত পৌঁছাতে চায়। চীনের সঙ্গে তিস্তা প্রকল্প করার বিনিময়ে ভারতকে সরকার অনেক ভেট দিয়েছে। কিন্তু তাতে ভারতের মন ভরছে না। এখন তারা তিস্তা প্রকল্পেই যুক্ত হতে চায়।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রাখতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। শেখ হাসিনার ভারত সফরের পরও একই ধরনের কথা বলেছেন তিনি। বোঝা যায়, সরকার ভারতকে না ও করতে পারছে না হা ও করতে পারছে না।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা প্রথম ভারত না চীন কোন দেশে যাবেন তা নিয়ে নানা টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন ভারত সফর হয়ে গেছে। কিন্তু ভারত তাতে নরম হয়নি। আবারও তাকে ভারত সফরে যেতে হয়েছে। এবারের সফরে বাংলাদেশে কৌশলগত সামরিক অবস্থান বাড়াতে বেশ কিছু চুক্তি করে নিয়েছে। কিন্তু মূল বিষয় যে তিস্তা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার কথা বলেছেন। তারা তিস্তায় কাজ করতে আগ্রহী। এজন্য কারিগরী টিম করেছে ভারত, তাদের বাংলাদেশে আসার দিনক্ষণও ঠিক হয়েছে। তার মানে তিস্তা নিয়ে ভারত মরণ কামড় দিয়ে বসেছে। শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা না করতে পারছেন না। মুখে অবশ্য ভারতের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু চীনকে কী বলবেন তারা?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছেন, তারা তিস্তা প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ চান। সেই প্রকল্প আর ৫ বিলিয়ন ডলার চীনা ঋণের জন্যই মূলত তিনি বেইজিং যাচ্ছেন। চীনের রাষ্ট্রদূত এই সফরকে গেম চেঞ্জার বলছেন। এই অবস্থায় ভারতের এই মরণ কামড় সরকারকে গাড্ডায় ফেলে দিয়েছে।

ভারত যেমন বোঝে এই সরকার তাদের কব্জায়, চীনও তেমনি বোঝে সরকারের কী দরকার। দু দেশই খপ করে ধরেছে। সরকারের জন্য চীনের ঋণ ও বিনিয়োগ জরুরি। নইলে অর্থনীতি ধসে পড়বে। অন্যদিকে ভারত বোঝে তাদের সমর্থন ছাড়া সরকার টিকতে পারবে না। তাদের কথা না শুনলে তারা সরকারকে ফেলে দিতে পারে চোখের ইশারায়। সরকার ফেলে দেওয়ার মতো সব উপকরণ ভারতের নিয়ন্ত্রণে।

ফলে, দুদেশের কাউকে না করতে পারছে না সরকার। সরকার মহাবিপদে। এতদিন যে পরাশক্তিগুলোকে লেজে খেলিয়েছে এখন সেই পরাশক্তিগুলোই ফণা তুলে রেখেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার এখন কী চাল দেয়, সেটাই দেখার বিষয়।

জাফর আব্বাস: রাজনৈতিক বিশ্লেষক