বেনজীর-মতিউরদের কাহিনী ফাঁসের নেপথ্যে কী!

আরেকটি বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় বসেছে কয়েক মাস হয়ে গেল। যে বিপুল বিক্রমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরাশক্তিকে উপেক্ষা করে, বিএনপিকে পর্যুদস্ত করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল; ততটাই যেন নার্ভাস এখন। ইতিমধ্যে দুবার ভারত যেতে হয়েছে কম ভোটের নির্বাচনে বিজয়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। চীনেও যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। খবরে শোনা গেছে, তিনি ভারত থেকে ফেরার পরপরই চীনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ঘুরে গেছে। তাদেরও মন ভালো করতে হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারকে। এর আগে দিল্লির মন ভালো রাখতে প্রথমে একবার টানা তৃতীয়বার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যান শেখ হাসিনা। তারপর শোনা যাচ্ছিল বেইজিং যাবেন তিনি। কিন্তু না, সফরসূচির মোড় আবার ঘুরে যায়। দিল্লিকেই আগে দেখা দিতে হলো হাসিনাকে। সেখান থেকে ফিরে তিনি বলছেন, বন্ধুত্ব ছাড়া কেউ কারো বাড়ি পরপর দুবার যায় না। এ সফরে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের ট্রেন চলাচল প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তিস্তায়ও ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের যাওয়া-আসার সুযোগ নিশ্চিত করা হলো। এখন তাহলে চীন কী পাবে? এর সমাধান শেখ হাসিনা কী করবেন, তা পরে দেখা যাবে।

কিন্তু শুধু যে ভারত আর চীন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত আওয়ামী লীগ সরকার তা না। যুক্তরাষ্ট্র তার আগেই এসে দেখা করে গেছে সরকারের সঙ্গে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু অবশ্য সরকারের সঙ্গে বেশ হাসিখুশি বৈঠক করে যান। কিন্তু তিনি ফিরে যেতে না যেতেই বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে। আর এর পর থেকে সরকারের থলের কুমিররা একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে। আরেক মহাপ্রতাপশালী সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদেও তার বিপুল সম্পত্তি নিয়ে ধরা খেয়ে বসেন। নাম আসে সাবেক ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার। ছাগলকাণ্ডে ধরা খেয়ে যান এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান। আরো অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়েও খবর প্রকাশ হয়। শোনা যাচ্ছে, এ দীর্ঘ তালিকা শেষ হওয়ার নয়।

কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এমন একটা টালমাটাল সময়ে কেন সরকার একে একে এত বড় বড় কর্মকর্তাদের ধরিয়ে দিচ্ছে তা নিয়ে অনেক কথা চলছে।

যেমন, সরকারের হাতে টাকা নাই। ডলার তো নাই-ই। এই টাকা বা ডলার সংকট কাটাতে সরকার অবৈধ টাকাকে বৈধ করার সুযোগ রেখে বাজেট দিয়েছে। বাজেটের মূল ‌ইনকাম সোর্স হলো জনগণের কাছ থেকে ট্যাক্স নেয়া আর অবৈধ টাকা। ট্যাক্স তোলায় সরকারের অদক্ষতা, অনিচ্ছা, অপারগতা যা-ই বলি-তা সবার জানা। আর থাকে অবৈধ টাকা। এসব টাকা যাদের হাতে আছে তারা দেশে-বিদেশে সেসব ছড়িয়ে রেখেছেন। দেশে জমি-বাড়ি কিনেছেন, ব্যাংকে রেখেছেন; বিদেশেও তাই। তাদের ধরতে পারলে নগদ অর্থ হাতে আসবে, এ ইচ্ছা থেকে আজিজ বা বেনজীর আহমেদদের ধরতে শুরু করেছে সরকার- এমন একটি মত পাওয়া যায়।

কিন্তু এখানে কথা থাকে। আজিজ, বেনজীর বা আসাদুজ্জামানদের জমি-বাড়ি বিক্রি করে সরকার না হয় দেশি নোট হাতে পেল, কিন্তু  ডলার পাবে কীভাবে? বিদেশের মধ্যে সব দেশে অবৈধ ডলার ঢোকানো যায় না বৈধভাবে। কিছু কিছু দেশে অবশ্য নানা শর্তে এবং অনেক ডলার ছেড়ে দিয়ে জমা রাখা যায়। কিন্তু কোনো দেশ থেকেই অবৈধ ডলার বের করার সুযোগ খুব কম। বের করতে পারলেও তা বিলিয়নের অংকে সম্ভব হবে না। বিদেশে যারা গাড়ি-বাড়ি কিনেছেন, তারা সেসব বিক্রি করে দেশে ডলার পাঠাবেন- এমন সম্ভাবনাই বা কতটা? ফলে সরকারের এ উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল হওয়ার সুযোগ কম।

কিন্তু ঝিকে মেরে বউকে শেখানোর কায়দায় একটা ফল সরকার পেতে পারে। এ সরকারেরই প্রশাসন ও বাহিনীর মহারথীদের ধরা খাওয়া দেখে বর্তমানে যারা লুটপাট চালিয়ে যাবে বলে ভাবছিল, তারা সতর্ক হবে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার হওয়ার হার কমে যাবে। ডলার পাচার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। যদিও সেটা কী পরিমাণে ঘটবে এবং ঘটলেও কতদিন এ ভয় টিকে থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

দ্বিতীয় আরেকটি প্রসঙ্গ শোনা যায় প্রায় সবার মুখে। সেটি হলো, যেমন বেনজীর আহমেদ। তিনি রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন। যে এলাকায় তা চেয়েছিলেন সেখানে আরো বড় বড় নেতারা রয়েছেন। তাদের এলাকায় বেনজীরের ‌'মাস্তানি' পছন্দ হচ্ছিল না। ফলে ধরিয়ে দিয়েছেন। বিষয় হিসাবে অবশ্য আজিজ আহমেদ আলাদা। তাকে 'সাজা' দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সাজার মধ্য দিয়ে সরকারের কিছু আসে-যায় বলে মনে হলো না। বরং যুক্তরাষ্ট্র ধরি মাছ না ছুঁই পানি জাতীয় একটা পদক্ষেপ নিয়ে ট্র্যাকে নিজেদের টিকিয়ে রাখল। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে কিছু আগাম বলা যায় না। তারা লম্বা রেসের ঘোড়া। তাদের দিক থেকে থেকে কখন কী আসে বলা যায় না। তবে আপাতত তারা একটা নোক্তা দিয়ে রাখল, যা সরকারকে খুব বেশি বেকায়দায় ফেলল না। বরং সরকার এ ইস্যুকে আরো ছড়িয়ে দিয়ে, মার্কিনীদের নীতিগত অবস্থানকে হালকা করে দিতে সক্ষম হলো। সরকার যে দুর্নীতি বিরোধী তা দেখানো গেল। মার্কিন নীতির সঙ্গে সরকারের মূলত কোনো বিরোধ নেই বলেও প্রতিভাত হলো।

আবার এমন খবরও আছে যে, একই বাহিনীর ভেতর ‘শ্রেণিশত্রুরা’ একে-অপরকে ধরিয়ে দিচ্ছেন। অলিগার্ক রাজনীতিতে এমন হয়। বড় অলিগার্করা ছোটদের ধরিয়ে দেন সময় হলে। যেমন জেনারেল আজিজের কথা ধরা যাক। আল জাজিরার ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ প্রতিবেদন থেকে শুরু করে দ্য গার্ডিয়ান, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে লিখেছে। উইকিপিডিয়ায় লেখা আছে, দ্য গার্ডিয়ান রিপোর্ট করেছে, আজিজ আহমেদ বাংলাদেশের ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের দমনে উসকানি দিয়েছিলেন। বিরোধী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে বর্ডার গার্ড ব্যবহার করার কারণে শেখ হাসিনার দল নির্বাচনে জয়লাভ করে। বিনিময়ে ২০১৮ সালে আজিজ আহমেদ সেনাপ্রধান হন।

আজিজ অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের জালে ধরা পড়েছেন। যদিও দেশে তার বিরুদ্ধে নানা আইনি ব্যবস্থা নেয়া, কথাবার্তা শুরু হয়। এর আগে র‌্যাবের স্যাংশনের বিপক্ষে আওয়ামী লীগ সরকারকে যেমন সোচ্চার দেখা গেছে, তখন র‌্যাব কর্মকর্তাদের (যাদের একজন বেনজীর) রক্ষায় সরব ছিলেন- এখন ঘটেছে তার উল্টো।

আর বেনজীর আহমেদকে নিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘বিরোধী দলগুলো প্রায়শই অভিযোগ করে যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে পুলিশ বাহিনীকে সরকারি দলের স্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন তিনি। তা ছাড়াও গত এক দশকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার সময় ‘বিরোধী দল দমনে’ নানা পদক্ষেপ নিয়েও বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি।’ এতে আরো বলা হয়, ‘২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের যে অবরোধ কর্মসূচি ছিলো সে সময় ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ বা ডিএমপির কমিশনার ছিলেন মি. আহমেদ। হেফাজতে ইসলামের বিশাল সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে তখন আলোচনায় এসেছিলেন বেনজীর আহমেদ।’

বেনজীর আহমেদ বিষয়ে বিবিসি আরো জানায়, ‘২০১৩ সালে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসার সামনের সড়ক বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। তখন সেখানে আড়াআড়ি করে রাখা হয়েছিলো বালুর ট্রাক, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। বিএনপি নেতারা এ ঘটনার জন্য তখনকার ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।’ ‘এ ছাড়া মি. আহমেদ ডিএমপি কমিশনার, র‍্যাব মহাপরিচালক ও আইজিপি থাকার সময় বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা বেশি কঠোরতার শিকার হয়েছেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে।’ পরে বেনজীর র‌্যাবের ডিজি হন। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বেনজীর আহমেদ। এরপর ওই বছরের পনেরই এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবসহ তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

যদিও সেই বেনজীর এখন দুর্নীতিবাজ হিসেবে খ্যাত। এবং তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। সরকার এ ক্ষেত্রে তাকে কতটা সহযোগিতা করেছে, সে সন্দেহও আছে। সরকারের সঙ্গে মিউচুয়ালি তিনি এ পরিণতি মেনে নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যখন তারা এসব বলপ্রয়োগ ও দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন, তখন থেকেই নিশ্চয় দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা তাদের ছিল। এমন কোনো পরিণতির প্রস্তুতি নিয়েই তারা লুটপাট, হুমকি-ধমকি চালিয়ে গেছেন বলে সহজেই অনুমান করা যায়।   

যে কারণে আরেকটি প্রসঙ্গও উঠে আসছে এ ক্ষেত্রে। সেটি একজন উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বললেন, ধরুন আপনি একটা বাড়ির প্রধান। আপনার সহযোগী যারা, তারা চোর। যেহেতু আপনার অধীনে তাদের চুরি, ফলে চোরে চোরে আপনারা মাসতুতো ভাই, একই বাড়িতে থাকেন। যেহেতু তারা চোর, ফলে পালানোর আগেই আপনাদের মাথায় বুদ্ধি থাকে। আপনারা এটা বোঝেন যে, যতই আপনারা মাসতুতো ভাই হন; আপনারা কিন্তু একে-অপরের চুরির সাক্ষীও। কে চুরি করেছেন, কে গাঁট কেটেছেন; নিজেদের এসব বিষয়ে কিন্তু আপনারা সবচেয়ে ভালো জানেন। এখন এমন একটা সময় আসলো, সবাই দেখল আপনি প্রধান চোর; বাদবাকি চোরদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। বলছেন তারা চোর। তাদের চুরির সাক্ষী হয়ে গেলেন আপনি। চোর হিসাবে সবাই তাদের নাম জানলো। আপনার নাম উঠল না কোথাও। কেউ কেউ অবশ্য সমালোচনা করবেন, এতদিন তো আপনারা এক সঙ্গেই ছিলেন, এতদিন কী  করেছেন? কিন্তু এ আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হলো অন্যটা। আপনি কিন্তু আপনার চুরির একেবারে ফার্স্টহ্যান্ড সাক্ষীদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। যদি আপনি বাড়ির কর্তৃত্ব হারান, তখন বিচার বসলে কিন্তু আপনার মাসতুতো ভাই চোরদের সাক্ষী হিসাবে আর পাওয়া যাবে না। কারণ তারা আগেগই বাড়ি ছেড়েছে। অন্তত এমন অনেক চুরির সাক্ষী তারা, যা আর কেউ সেভাবে জানে না। ফলে অনেক ধরনের চুরির অভিযোগ থেকে আপনার রেহাই মিলবে সহজে। যদি বাড়ির কর্তা হিসাবে আপনাকে সরিয়ে নতুন কেউ আসে। তাদের পক্ষে কী সম্ভব হবে, আপনার সহযোগীদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখে দাঁড় করানো? না তারা নিজেরা স্বেচ্ছায় সেটা করতে চাইবে? বরং যদি আপনি টিকে যান, তাহলে তারা স্বেচ্ছায় ফিরে আসবে।

তার এই ‌'ঈশপের গল্প'র পুরো মর্মার্থ আমি উদ্ধার করতে পারিনি। কিন্তু তাকে আবার একেবারে ফেলেও দিতে পারছি না। তার কথার অর্থ দাঁড়িয়ে আছে বাড়ির কর্তার ক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনার ওপর। সেটা কি এতটাই যে নিজের এতদিনের বিশ্বস্ত সহযোগীদের এভাবে জনতার সামনে নাজেহাল করাতে হবে? গোপনে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দিলেই তো চলত। ওই ভদ্রলোক অবশ্য এরও একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোনো কিছু একটা কারণে ঘটে না। একাধিক কারণের দরকার হয়।

কিন্তু এস আলম-এর বিরুদ্ধেও যখন অভিযাগ উঠলো, তখন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। উল্টো আদালত তাকে রেহাই দিল। এ প্রশ্নের জবাবে ওই ভদ্রলোক বললেন, নৌকা ভারি হয়ে গেলে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এ জন্য প্রথমে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিতে হয়। যত নৌকা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকবে, তত মালপত্র ফেলে দিতে হবে নদীতে। পরিস্থিতি শান্ত হলে তাদের কেউ কেউ আবার ফিরে আসতে পারে পুরোনো নৌকায়।