জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

জিয়াউর রহমান। ফাইল ছবি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৩০ মে। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি।

জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। প্রতি বছর দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে বিএনপি। জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে দেশের মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহূর্তে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা পুরো জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করেছে। পরে গণতন্ত্র হত্যা ও অরাজকতার অমানিশার দুর্যোগের মুখে দেশের সিপাহী-জনতার মিলিত শক্তির মিছিলে জিয়াউর রহমান জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন।

বিবৃতিতে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সব স্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

বিএনপির কর্মসূচি

সাবেক এই রাষ্ট্রপতির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ভোর ৬টায় দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি। বেলা সাড়ে ১১টায় মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির জাতীয় নেতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও জিয়ারত করার কথা। এরপর বিএনপি মহাসচিব রাজধানীর কয়েকটি স্থানে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবেন।

এছাড়াও বিএনপিসহ অঙ্গ-সংগঠনগুলো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এদিন পোস্টার প্রকাশ করবে। বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশ করা হবে বিশেষ ক্রোড়পত্র।