জিয়াউর রহমানের ‍মৃত্যুবার্ষিকী: ১৫ দিনের কর্মসূচি বিএনপির

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভা করে দলটি। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দিবসকে সামনে রেখে গণমাধ্যমে বাণী দিয়েছেন তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার নিভৃত পল্লী বাগবাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব ও কৈশোরে তিনি কমল নামে পরিচিত ছিলেন। তার বাবা মনসুর রহমান সরকারি চাকরির জন্য প্রথমে কলকাতায় ও ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর চলে যান করাচি শহরে। সেখানেই লেখাপড়া করেন জিয়া। শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাবুলে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন।

পাক-ভারত যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনা করেন জিয়াউর রহমান। বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনি ওই যুদ্ধে কোম্পানির সর্বোচ্চ খেতাব ও একটি বিশেষ উপহার লাভ করেন। পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

এদিকে, গত ২২ মে নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক  যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এসব কর্মসূচির মধ্যে আছে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও দুঃস্থদের মধ্যে রান্না করা খাবার ও বস্ত্র বিতরণ প্রভৃতি।

এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে এই মহান নেতা, মহান পথ প্রদর্শক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণীয় করে রাখবার জন্য আমরা আগামী ২৮ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সেমিনার, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, আলোকচিত্র প্রদর্শনী প্রভৃতি। শাহাদাতবার্ষিকীর দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৩০ তারিখ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালযে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালোপতাকা উত্তোলন করা হবে। বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনগুলো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পোস্টার প্রকাশ ও বিভিন্ন দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।’

জিয়াউর রহমান শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আজ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের উদ্যোগে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে দুঃস্থদের মধ্যে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে।

বিএনপি মহাসচিব জানান, শুক্রবার জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণদোয়া হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছাড়াও সারাদেশে জেলা ও ইউনিটসমূহ কার্যালয়ে জিয়াউর রহমানের স্মরণে আলোচনা সভা, দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করবে।