দেশ এখন মাফিয়া-লুটেরাদের কবলে: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি মাফিয়া ও লুণ্ঠনকারীদের কবলে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণভাবে অপরাধী, লুণ্ঠনকারী ও মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে। একদিকে তারা (সরকার) মানুষের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে।’

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) শহীদ জিয়াউর রহমানের কবর প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সম্পদ নষ্ট করে বাংলাদেশকে করে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা।

ফখরুল বলেন, তাদের দল ও অন্যান্য বিরোধী দল বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। ‘ইনশাল্লাহ এই সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হব।’

এর আগে, মির্জা ফখরুল বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

পরে নেতাকর্মীরা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণরূপে নির্বাসিত, তখন তারা তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা ও মহান নেতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা কৌশল অবলম্বন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ভিন্ন কায়দায় ক্ষমতা দখল করেছে।

ফখরুল বলেন, ‘তাই তার (জিয়া) শাহাদাতবার্ষিকীতে আমরা শপথ নিয়েছি যে, দেশের অধিকার, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এখন যে আন্দোলন চলছে তা আমরা তরুণ, বৃদ্ধ ও নারীদের সঙ্গে নিয়ে আরও বেগবান করব। এই আন্দোলনের মাধ্যমে এই ভয়ংকর দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’

১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করা জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কালো ব্যাজ ধারণ, সংবাদপত্রের ক্রোড়পত্র প্রকাশ, দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এ উপলক্ষে সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়সহ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।