পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির সমালোনায় গণঅধিকার পরিষদ

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতির সমালোচনা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। দলটি বলছে, পুলিশের অসৎ কর্মকর্তাদের রক্ষা করার অপপ্রয়াস থেকেই এ ধরনের বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৩ জুন) গণঅধিকার পরিষদের পাঠানো বিবৃতিতে দলটির সভাপতি নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, পুলিশের দুর্নীতিবাজ, অসৎ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কর্মকর্তাদের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গত শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ভবিষ্যতে পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের অনুরোধ জানিয়েছে।

সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আংশিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ঢালাও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।

তারা বলেন, ‘দুর্নীতি, ক্ষমতার অব্যবহার করে অবৈধ সম্পত্তির মালিক হওয়াসহ নানাবিধ অপকর্মে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেনি। বরং রাজনৈতিক রং মাখিয়ে গণমাধ্যমসহ যারা পুলিশ সদস্যদের দুর্নীতি, ক্ষমতার অব্যবহার নিয়ে সোচ্চার, তাদের নিয়ে বিষোদ্‌গার করে বিবৃতি দিয়েছে। যা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন করতে পারে না। এটি সংবিধান ও নৈতিকতা পরিপন্থি।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের জনসেবায় পুলিশ সদস্যদের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। গুটিকয় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অপকর্মের দায় পুরো বাহিনীর ওপর আসতে পারে না। কিন্তু পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি প্রকারান্তরে অসৎ, দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যদের পক্ষে।

পুলিশ বাহিনীসহ সব পর্যায়ের দুর্নীতিবাজ, অসৎ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।