ভারতে দাসখত দিয়ে বড় বড় কথা বলেন লজ্জা করে না, শেখ হাসিনাকে মান্না

মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আজিজ, বেনজীর, মিয়া সাহেবরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করলেও তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গণমাধ্যমে লুটপাটের তথ্য প্রকাশের পর এখন তদন্তের নাটক করছে। একজন গরিব কৃষক ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়ে পরিশোধ করতে না পারলে তাকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ, আর্মি প্রধানরা হাজার কোটি টাকা লুট করল তা কেউ দেখলো না? 

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আজিজ, বেনজীর, মতিউরের অবিশ্বাস্য দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রীর দাসখত দেওয়ার ভারত সফরের বিরুদ্ধে’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বেনজীর বিদেশে পালিয়ে গেছে, কবে কীভাবে কোন রাস্তা দিয়ে গেল? মতিউরও নাকি পালিয়েছে। সরকার মতিউরের দুর্নীতি খুঁজে পেল না। একটা ছাগল খুঁজে বের করল। ছাগলের কাছ থেকে সরকারের শিক্ষা নেওয়া উচিত। এরা যখন অন্যায় করে তখন সরকার দেখে না?

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মতিউর যেদিন গেল সেদিনের আগ পর্যন্ত তার নামে কোনো মামলা, নিষেধাজ্ঞা নেই। যাওয়ার পরে বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিল। সবগুলো আওয়ামী লীগ করে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো চুরি করে, ডাকাতি করে প্রধানমন্ত্রী। চোর, ডাকাত ছাড়া তো প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারে না। আবার বলে, এতো লোভ মানুষের। আপনার আশপাশে যারা থাকে তাদের লোভ নাই? 

তিনি বলেন, আমরা বিদেশে যাওয়ার সময় ইমেগ্রেশনে আটকে এসবি, ডিবি, এনএসআই, ডিজিএফআই সবার কাছে ফোন করে। আমার নামে মামলার চার্জশিট দিতে পারে নাই। কিন্তু আমার পাসপোর্ট দশ বছর আটকে রেখেছে। আজিজ, বেনজীরের পাসপোর্ট আটকে রাখা হলো না কেন? কারণ সরকার এদের রক্ষা করছে।

তিনি আরও বলেন, সড়কে নিরাপত্তা নাই, জিনিসের দাম কমাতে পারে না, আবার বড় বড় কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন আমরা স্বাধীনতা এনেছিলাম, তো আমরা কি ঘুমিয়ে ছিলাম? ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা এমপি হয়েছিল তাদের অধিকাংশই যুদ্ধ করেনি। 

মান্না বলেন, মোদির শপথ নেওয়ার আগে চলে গেছেন। আবার ১৫ দিন পরেই আবার গেলেন। অনেকে বলেন, তিনি হাজিরা দিতে গেছেন। গেলেন কেন? কিছু পাওয়ার জন্য? আমাদের প্রধান দাবি ছিল, ভারত আমাদের পানি দেয় না। এগুলো নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানির দাবি ছেড়ে দিয়ে এসেছেন। 

তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে ট্রেন করিডোর দেওয়া হয়েছে সেখানে যদি অস্ত্র যায়? সেনাবাহিনী যায়? আপনি তল্লাসী করতে পারবেন? 

নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, দপ্তর সম্পাদক মহিদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফেরদৌসী আক্তার প্রমুখ।