রিয়ালের ইতিহাস না ডর্টমুন্ডের অঘটন

স্পেনের জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ইতিহাস তৈরি করেছে অনেক আগেই। ১৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগের ধারেকাছে কেউ নেই। সেই রিয়াল মাদ্রিদ নামছে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে। অন্যদিকে রিয়াল সমর্থকদের আগাম উচ্ছ্বাস ভেস্তে দিতে চাইছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। অঘটন ঘটাতে মরিয়া তারা।

শনিবার রাতে (১ জুন) চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে স্পেন ও জার্মারির দুই ক্লাব রিয়াল ও ডর্টমুন্ড। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায়।

রিয়ালের চোখে ১৫তম ইউরোপিয়ান কাপ। গত ১০ বছরে ষষ্ঠ বার এই ট্রফি জেতার লক্ষ্যে নামবে তারা। রিয়ালকে এক সময় ‘ইউরোপের রাজা’ বলা হত। ১৯৫৬ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর থেকে টানা পাঁচ বার ট্রফি জিতেছিল তারা। আরও একটি জিতেছিল ১৯৬৬ সালে।

আলফ্রেডো ডি’স্টেফানো, ফেরেঙ্ক পুসকাস, পাকো জেন্তো এবং রেমন কোপার সেই দল ছিল অপ্রতিরোধ্য। ষষ্ঠ ট্রফি জেতার পর রিয়ালকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৩২ বছর। ১৯৯৮ সালে সপ্তম ট্রফি জেতে তারা। তত দিনে ইউরোপিয়ান কাপের নাম বদলে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। সেই সময় পাঁচ বছরে তারা তিন বার এই ট্রফি জিতেছিল।

কিন্তু নয়ের গেরোয় আটকে দশমটি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও ১২ বছর। মাঝের সময়ে বড় রোনাল্ডো, জিনেদিন জিদান, রবার্তো কার্লোস, ডেভিড বেকহ্যাম, রাউল, ফিগো সবাইকে এক দলে খেলিয়েও সাফল্য পায়নি। কয়েক হাজার কোটি টাকার দল বার বার ব্যর্থ হয়েছিল।

২০১৪ সালে ব্যর্থতা কাটে। অর্থ দিয়ে বড় নামের পিছনে না ছুটে করিম বেঞ্জেমা, সের্জিয়ো রামোস, মার্সেলো, কাসেমিরো, লুকা মদ্রিচের মতো ফুটবলারকে কম টাকায় সই করানো হয়। বেশি দামে নেওয়া হয় শুধু ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। এরপর শুধু রিয়াল সাফল্যের পথে ছুটেছে।

তবে ডর্টমুন্ডকে বাদ দিলে চলবে না। ১৯৯৭ সালে এক বারই চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে তারা। ২০১৩ সালে ফাইনালে উঠেও হেরেছে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। এ বার জার্মানির ঘরোয়া লিগে মৌসুমটা খারাপ গেলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে আতলেতিকো, পিএসজির মতো ক্লাবকে হারিয়েছে তারা। ফাইনালে নামার আগে যা তাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।