পাওয়ার প্লে শেষে চাপে বাংলাদেশ

পাওয়ার প্লে শেষে চাপে বাংলাদেশ

সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ। সেমিতে ওঠার স্বপ্নকে সামনে রেখে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। এ অবস্থায় পাওয়ার প্লে শেষে চাপে শান্তর দল।

সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভ্যালেতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১১৫ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। জবাবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ ওভারে তিন উইকেটে ৪৬ রান।

আফগানিস্তানের দেওয়া লক্ষ্য ১২.১ ওভারে তাড়া করতে পারলে সেমিতে যাবে বাংলাদেশ। অবশ্য ১২.৫ ওভারে জিতলেও হবে, সেক্ষেত্রে ১১৯ রান করতে হবে টাইগারদের। এমন সমীকরণকে সামনে রেখে রান তাড়া করতে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম।

প্রথম ওভার থেকে ১৩ রান আনেন লিটন। ফজল হক ফারুকির করা পরের ওভারে আউট হন তামিম। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরা এ ব্যাটার রানের খাতা খুলতে পারেননি। চলতি বিশ্বকাপে এটি তার তৃতীয় ডাক।

তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন নাভিন উল হক। ৫ রান করা শান্তকে আউট করার পরের বলেই সাকিবকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন এ পেসার। লিটন ও সৌম্য এখন ক্রিজে ব্যাট করছেন।

আজ মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। আফগানদের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৫৯ রান।

প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি আফগানিস্তান। তবে ১১তম ওভারেই সাফল্যের দেখা পায় টাইগাররা। রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে আউট হন ১৮ রান করা ইব্রাহিম। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ১০ রানে ফেরান মুস্তাফিজ।

একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলা গুরবাজ ক্রমেই বিপদজনক হয়ে উঠছিলেন। নিজের শেষ ওভারে আক্রমণে এসে তাকে ফেরান রিশাদ। গুরবাজ ৪৩ রান করেন। একই ওভারে ৪ রান করা গুলবাদিন নাইবকে ফেরান এ লেগস্পিনার।

শেষদিকে রশিদের ১৯ রানের অপরাজিত ক্যামিওতে লড়াকু সংগ্রহ পায় আফগানরা। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ তিনটি এবং মুস্তাফিজুর ও তাসকিন একটি করে উইকেট শিকার করেন। সমীকরণ অনুযায়ী ১২.১ ওভারের মাঝে এই রান তাড়া করলে সেমিতে যাবে বাংলাদেশ।