ভারতে ঘৃণা ভাষণ বাড়ছে, বিপন্ন সংখ্যালঘুরা: ব্লিংকেন

অ্যান্টনি ব্লিংকেন

নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এক মাসও হয়নি। সংসদীয় রাজনীতির প্রথা মেনেই দেশে বিরোধীরা এখনও তার বিরুদ্ধে তেমন একটা সরব হয়নি। কিন্তু মোদির অস্বস্তি শতগুণ বাড়িয়ে দিল ‘বন্ধু’ যুক্তরাষ্ট্র।

স্বয়ং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ভারতে ঘৃণা ভাষণ বাড়ছে। সে দেশে সংখ্যালঘুরা বিপন্ন। তাদের উপাসনাস্থল ভেঙে দিয়ে ধর্মাচরণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

ব্লিংকেন এমন সময় এই কথা বলেছেন, যখন ভারতে সদ্য গঠিত ১৮তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন উপলক্ষে সংসদে যৌথ সভায় ভাষণ দিতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের পর নতুন সংসদ গঠিত হয়েছে। এমন সন্ধিক্ষণে ভারত সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য মোদি সরকারকে রীতিমতো চাপে ফেলল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

মানবাধিকার বিষয়ে প্রতি বছর গোটা বিশ্বের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। সাধারণত মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা এই রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার স্বয়ং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেটি প্রকাশ করেছেন।

মোদি সরকার অতীতেও মার্কিন রিপোর্টের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এবার কী করবে সেটাই দেখার।

নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে আগেও একাধিকবার সরব হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় ভারত তুলনামূলকভাবে স্বস্তিতে ছিল। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে বিদেশ নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনেন। দেশে দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় তার প্রশাসন কাজ করবে বলে ঘোষণা করেন বাইডেন। সেই মতো সব দেশের প্রতিই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে।