সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কেউ, রান-অফ ভোট ৫ জুলাই

বাঁ থেকে ভোটে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া কট্টরপন্থী সাইদ জালিলি ও সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান/এএফপি

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। যে কারণে রান-অফ ভোটের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২৯ জুন) মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, আগামী ৫ জুলাই রান-অফ ভোট গ্রহণ করা হবে।এতে আর এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে শুক্রবার দেশটিতে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চার জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোট গণনায় লড়াইটা এসেছে ঠেকে দুই প্রার্থীর মধ্যে। এর মধ্যে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন একমাত্র মধ্যপন্থি প্রার্থী আর তারপরেই আছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতার বলয়ভুক্ত কট্টরপন্থি প্রার্থী।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, মধ্যপন্থি আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান ২ কেটি ৪০ লাখ ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টরপন্থি কূটনীতিক সাঈদ জালিলি থেকে এক কোটিরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। জালিলি পেয়েছেন ৯৪ লাখের চেয়ে কিছু বেশি ভোট।

ইরানের চূড়ান্ত ক্ষমতা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির (৮৫) হাতে, তাই নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন দেশটির নীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসবে না। কিন্তু দেশটির প্রেসিডেন্ট সরকার পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন এবং দেশটির নীতির সুরকে প্রভাবিত করতে পারেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মধ্যপন্থি পেজেশকিয়ান ইরানের ধর্মতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি বিশ্বস্ত হলেও পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা, অর্থনৈতিক সংস্কার, সামাজিক উদারীকরণ এবং বহুদলীয় রাজনীতির পক্ষে।