নারীকে রাস্তায় ফেলে মারধর তৃণমূল নেতার

সম্প্রতি ‘মুসলিম হয়েও বিজেপি করার অপরাধ’-এ পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে এক নারীকে নগ্ন করে মারধরের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর মধ্যে আরেক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার বিরুদ্ধে। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। সেখানে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সালিশি সভায় এক মহিলা ও এক পুরুষকে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে নির্যাতনের সেই ভিডিও। ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলে তৎপর হয় পুলিশ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাজমুল ওরফে জেসিবির বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জাবি থমাস।

রবিবার ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা যায়, চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তাজমুল লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘলগাঁও এলাকায় প্রকাশ্য রাস্তায় এক সালিশি সভায় এক মহিলা ও এক পুরুষকে লাঠি দিয়ে মারধর করছেন। মাটিতে ছটফট করছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ ওঠায় সালিশি সভা বসেছিল। সেখানেই ওই যুবক ও যুবতীকে মারধর করেন তাজমুল। গ্রামের অন্যরা চারিদিক থেকে ঘিরে দাঁড়িয়ে দেখলেও কেউ বাধা দেননি।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, চোপড়া থানায় তাজমুলের বিরুদ্ধে অন্তত এক ডজন অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বিধায়কের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

এই ঘটনা নিয়ে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমান হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ‘আপনারাই বাড়াবাড়ি করছেন। যাকে মারা হয়েছে সেই মহিলা তো কোনো অভিযোগ করেননি।’

নির্যাতনের ভিডিও পোস্ট করে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনের কুৎসিত রূপ। ভিডিয়োতে যে ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে মারধর করতে দেখা যাচ্ছে তিনি তাজমুল (লোকে জেসিবি বলে ডাকে)। তিনি সালিশের জন্য এলাকায় বিখ্যাত এবং চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমানের ঘনিষ্ঠ।’

বিজেপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল যে শরিয়া আদালত চালাচ্ছে গোটা দেশের তার বিরুদ্ধে জেগে ওঠা উচিত। সেখানে প্রতিটি গ্রাম সন্দেশখালি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি নারীর কাছে অভিশাপ। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার কোনো চিহ্ন নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এই দানবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন না শাহজাহানের মতো একেও রক্ষা করবেন?’