ঝর্ণার পানিতে ভেসে গেল একই পরিবারের ৫ জন

ঝর্ণার পানিতে ভেসে গেল একই পরিবারের ৫ জন

পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে পিকনিক করতে গিয়েছিল। তবে মুহূর্তেই মধ্যেই আনন্দ পরিণত হলো বিষাদে। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্র রাজ্যের শহর পুনেতে ঝর্ণার পানিতে ভেসে গেছেন একই পরিবারের সাতজন। তাদের মধ্যে দুই জন সাঁতরে বেঁচে গেলেও নিহত হয়েছেন পাঁচজন। স্থানীয় সময় রোববার পুনের লোনাভালা ঝর্ণায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভয়াবহ এবং হৃদয়বিদারক এই ঘটনা সরাসরি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সে সময় পরিবারটির ভেসে যাওয়া সদস্যরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও পানির তীব্র স্রোতের কারণে কেউ তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার বিকেলে পুনের হাদপসারের সায়দনগর থেকে লোনাভলায় পিকনিক করতে যান একটি পরিবারের ১৬-১৭ জন সদস্য। সে সময় তারা ঝর্ণার পানির কাছে একটি পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন।

ঝর্ণাটি ভুসি ড্যামের কাছে অবস্থিত। সেখানে বর্ষা মৌসুমে অনেক মানুষ ঘুরতে যান। তবে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টির কারণে ড্যামটির পানি উপচে পড়ে। যার কারণে ঝর্ণাটির পানিও সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ছিল এবং স্রোতও বেশি ছিল। পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে থাকার সময় হঠাৎ করে একসঙ্গে ১০ জনের মত নিচে পড়ে যান। ফলে পানির তীব্র স্রোতে ভেসে যান তারা। স্থানীয়রা এবং অন্য কিছু পর্যটকরা গ্রুপের পাঁচজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও বাকি পাঁচজন ভেসে যান।

সে সময় অনেকেই এ দৃশ্য দেখালেও কারোরই আর কিছুই করার ছিল না। তীব্র পানির স্রোতে কেউই কাছে যেতে পারেননি।

পুনের পুলিশ সুপার পঙ্কজ দেশমুখ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দুই জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও বাকি দুজন শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকারী দল এবং নৌবাহিনীর ডুবুরিরা নিখোঁজ শিশুদের অনুসন্ধানে রোববার গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছে। সোমবার আবার তল্লাশি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন আরেক পুলিশ কর্মকর্তা।

ভয়াবহ এ ঘটনার পর সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে ইতিমধ্যেই পুনে স্থানীয় পুলিশ ভুসি বাঁধে আগত পর্যটকদের জন্য একটি বাঁধের পানিতে না নামার এবং পাহাড়ে না যাওয়ার নির্দেশনা জারি করেছে।